নিউজ প্রতিবেদক:
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর ঘাট এলাকায় অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে এক মাটি ব্যবসায়ীকে লাখটাকা জরিমানা করার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় আবারো মাটি ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সরজমিনে লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মার শাখা নদী (নবীনগর ঘাট) ও এর আশেপাশের এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে। দেখা যায়, পদ্মার শাখা নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে দেদারসে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে দুই পাড়ের ফসলী জমি সহ বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় কয়েকজন যুবক এগিয়ে আসেন। তারা জানান, ওই এলাকার বিএনপি নেতা লিপন হোসেন, জিয়াউল ইসলাম, স্বপন, রুবেল হোসেন, কাজিম হোসেন সহ আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির যোগসাজশে নবীনগর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে মাটি ব্যবসায়ী ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার লিপন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জরিমানার পরের দিন থেকেই আবারো মাটিকাটা শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন ভেকু প্রতি ১৩ হাজার টাকা করে সাংবাদিক, পুলিশ ও প্রশাসন ম্যানেজ বাবদ তারা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রকির হাতে দেন। তারপর রকি’র মাধ্যমে সেসব টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়।
তবে টাকা লেনদেনের বিষয় অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রকি বলেন, আমার দোষ যে কেউ দিতেই পারে তবে আমি কোনো টাকা পয়সা নেয় না। ভাটা যতদিন চলবে, মাটি কাটাও ততদিন চলবে এটা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। আর কেন জরিমানা করা হলো, একদিন পরই বা কেন মাটিকাটা পূনরায় শুরু হলো তা আমার চেয়ে এসি ল্যান্ড স্যারই ভালো জানে, তাকে জিজ্ঞেস করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় এসব মাটি খেকোরা পূনরায় আবার মাটি কাটা শুরু করেছে। যেকোনো সময় আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এ বিষয়ে থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশকে অবগত করার কথা জানান তিনি। আর আর্থিক লেনদেনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অনৈতিক সুবিধা আদায় করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।