ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করে বালুরঘাটে জরিমানা ও আওয়ামিলীগকে পূনর্বাসনের চেষ্টার অভিযোগ এনে সড়কে নেমে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ঈশ্বরদী পৌর শহরের প্রধান সড়কে ( প্রেসক্লাবের সামনে) “ভুক্তভোগী ঈশ্বরদীবাসী”র ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি নান্নু রহমান, মৌবাড়ি ও ঠাকুরবাড়ি বারোয়ারী মন্দির কমিটির সভাপতি রাজেশ স্বরাপ ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ঈশ্বরদীতে নিযুক্ত নবাগত ইউএনও মনিরুজ্জামান ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সঙ্গে আতাত করে তাদের পূনর্বাসনের চেষ্টা করছে। গনঅভ্যুত্থানকারীদের অপদস্ত করা সহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী দুর্ব্যবহার করছেন। ঈশ্বরদীর মাটিতে এমন আওয়ামীপন্থি কোন কর্মকর্তা সাধারন মানুষের সেবক হিসেবে থাকতে পারবে না। তারা আরো বলেন, নবাগত ইউএনও গোপনে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছে। গত কয়েকদিন আগে বৈধ বালুর ঘাটে অভিযানের নামে ১০-১২ জন বিএনপি কর্মীকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ এনে কারাদন্ড দিয়েছে। এসব কর্মকান্ডে প্রমানিত হচ্ছে সে আবারো আওয়ামীলীগকে টেনে উপরে তোলার চেষ্টায় নেমেছে। এসময় মানববন্ধনকারীরা “আওয়ামীলীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবেনা” এমন নানারকম স্লোগান দিয়ে দ্রুত সময়ে ইউএনও’র অপসারণের দাবি জানান।
তবে বিষয়ে ঈশ্বরদীর নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে মানববন্ধন করা হচ্ছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর আওয়ামীলীগের যে নেতার নাম জড়িয়ে আমার নিকটাত্মীয় বানানো হচ্ছে, তিনি আমার কেউ নন। গত সপ্তাহে পাবনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও টোল আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করায় আমার বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন করানো হচ্ছে।





